পোস্টগুলি
‘বন্ধুরা বলে আমি আন্দোলনে গেছি। আমার মনে পড়ে না’
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

গাজি জয়নুল আবেদিন শাহেদ এখন আর কিছু মনে রাখতে পারেন না। উপর থেকে ছাত্রলীগের করা নিখুত গুলিটা সরাসরি মাথার ব্রেনে গিয়ে আঘাত করছিলো। জয়নুল আবেদিন শাহেদ শাহেদ মাত্র নিউ টেনে উঠলেন, হাফেজও। বয়স ১৬/১৭। বাড়ি পটিয়া। ৪ আগস্টের পটিয়ার আন্দোলনে আহত হন। শাহেদকে জিগাস করলে বলে, 'বন্ধুরা বলে আমি আন্দোলনে গেছি। আমার মনে পড়ে না!' শাহেদের মাথায় অপারেশন হয়। অচেতন ছিলেন প্রায় দুই সপ্তাহ। শাহেদের পরিবার ডাক্তারের কাছে জিগাস করলেই বলতেন, 'আল্লাহকে ডাকেন।' অর্থাৎ ডাক্তারেরাও খুব বেশি আশা দেখতেন না। ৫ মাসের ব্যবধানে শাহেদ এখন কিছুটা সুস্থ। হাল্কা কথাবার্তা বলেন। আম্মুকে ঘনঘন নানানকিছু জিগেস করা লাগে মনে পড়ে না বলে। শাহেদের কাছে এখনো কোনো সরকারি ফান্ড পৌছায় নাই। এই অবহেলা হয়ত শাহেদের আর মনেও পড়েনা। মনে যে পড়েনা, সেটাও কি লজ্জার না? • কাজী ওয়ালী উল্লাহ'র ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
কর্মঘণ্টা খেয়ে ফেলছে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

নাইম হাসান, জিইউবি সিক্সটিন যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার যানজটের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠছে দিনদিন। গুলিস্তান ফ্লাইওভার প্রতিদিন লাখো মানুষের ভরসার জায়গা হলেও এটি যানজটের জন্য চলা দায়। ফ্লাইওভারে যানজটের কারণ হলো অসচল ট্রাফিক ব্যবস্থা, অতিরিক্ত যানবাহন, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, এবং বিকল্প পথের অভাব। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা ট্রাফিক পুলিশ নিয়মের চেয়ে ভাগ্যের ওপর বেশি নির্ভর করে। একটি সিগন্যাল দিলে ৩০ মিনিট পর্যন্ত গাড়ি চলতে পারে না।ফ্লাইওভার দক্ষিণ থেকে উত্তর ঢাকার সব পথের গাড়ির মিলনস্থল। গুলিস্তানের দিকে নামার আগেই প্রতিটি গাড়ি একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে। ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা ফ্লাইওভারের রাস্তা খানাখন্দে ভরা, যা গাড়ি চলাচল বা পায়ে হাঁটার জন্যও অনুপযুক্ত।বিকল্প পথের অভাব কতটা প্রভাব ফেলে? ফ্লাইওভারের আশপাশে ব্যবহারের মতো বিকল্প রাস্তা নেই, যা যানজটের চাপ আরও বাড়ায়। সমস্যার সমাধানে বিশ্লেষক আহমদ আলী বলেন, ‘স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট চালু করা।ফ্লাইওভারের রাস্তা দ্রুত মেরামত করা।পণ্যবাহী গাড়ির জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ। বিকল্প রাস্তা তৈর...
যে কারণে শহীদের দলীয় তালিকাও থাকা উচিৎ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

শহীদের তালিকা নিয়ে দুই চারটি কথা - শেরিফ ফারুকী ছাত্রদল শহীদের তালিকা দিয়ে গণঅভ্যুত্থানে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, আর শিবিরকে নিশ্চিত করতে হয় সারজিস আলমদের বয়ান দিয়ে। তারপর ১৪২ জনের বিশাল তালিকায় ভুলক্রমে দু’একটা নাম ঢুকে পড়লে শুরু হয় হাউকাউ, ‘এই তো! দেখেন দেখেন, কারে ঢুকাইছে'। এই বিশ্রী আলাপ দেখতেছি আর বিরক্ত হইতেছি। আরে ভাই তোরা সংশোধনের জন্য নামের ব্যাপারে আপত্তি তুলতে চাইলে তোল! কিন্তু যেভাবে আলাপ হচ্ছে মনে হইতেছে সংশোধন না বরং মক করাই উদ্দেশ্য। অবশ্যই এই তালিকায় কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তালিকায় থাকা ১৪২ জনের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন পদে থাকা ছাত্রদল নেতা। এদের আপনি নিশ্চিত করতে পারছেন। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ঝামেলা হয় যে মাঝেমাঝে ভুলে কিছু নাম ঢুকে যেতে পারে। এমনকি এই ১৪২ শহীদের বাইরে আরো অনেক শহীদ রয়ে গেছে যারা ছাত্রদলের ছেলে অথচ ছাত্রদল বলে আইডেন্টিফাই করা যায়নি। তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত কিছু ভুল নামও দিতে পারে। তালিকা তো একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস, যুক্ত বিযুক্ত ও সংশোধিত হতে থাকবে। একইসাথে ছাত্...
মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার এবং...
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

ইতিহাসের একটা দায় মিটলো। মেজর শরিফুল হক ডালিম নিশ্চিত করলেন শেখ মুজিব হত্যার ব্যাপারে শহীদ জিয়া তাদের সাথে ‘বেঈমানি’ করেছেন। পলিটিক্যাল আসপেক্টে এই সাক্ষাৎকারের গুরুত্ব বহুদিন থাকবে। শহীদ জিয়াকে যেভাবে অনাহূতভাবে মুজিব হত্যার সাথে জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে শাহরিয়ার কবিররা, অন্তত সেই দায় কিছুটা ঘুচলো। ২. শরিফুল হক ডালিমের এই আলাপ একটা র' ম্যাটেরিয়াল ভাবতে পারেন। ইতিহাস ভেতরে ভেতরে ঘষামাজা করছেন ডালিম। ফলে আমরা তার ভিউটা পাইছি। তবে এইটাও ঠিকঠাক পাইছি বলে মনে হয় না। কারণ দীর্ঘ সময়ের কারণে অনেক জিনিশ বিস্মৃত হইছেন বেচারা। আর এই আলাপটা এবং আওয়ামী বয়ান দুইটারে মিলায়া নিজের মতো ইতিহাস দাড় করাইতে পারেন। কোনোটাই তো আসলে নন বায়াসড না, এমনকি আমার এই পোস্টও। সুতরাং নিজের ইতিহাস নিজে তৈরি করুন। যারে আপনার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় তারটা নিন। যতোটা মনে হয় ততোটা নিন। ৩. এই সাক্ষাৎকার নিয়া একুশে টিভির সাবেক ক্রাইম রিপোর্টার ইলিয়াস হোসাইন আবারো জাতে উঠলেন মনে হইলো। গত কিছুদিন যাচ্ছেতাই জিনিশপাতি সাপ্লাই করতেছিলেন তিনি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই টোনে থাকবেন। এই সাক্ষাৎকারেও উনি একটি বিশেষ দলের টোনে প্রশ্ন...
জুলাই আমারে ঝামেলায় ফালায় দিয়া গেল
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

(এই লেখাটা একটু বড় হচ্ছে, সময় না থাকলে স্কিপ প্লিজ) অনেকবার অনেক ট্যাগ খাইছি। বামপন্থী ছাত্রদল, শাহবাগপন্থী ছাত্রদল, শিবিরপন্থী ছাত্রদল... এবার খাওয়ার আগেই একটা ট্যাগ নিজেই নিজেরে দিয়ে দিতে চাই। ‘সমন্বয়ক’পন্থী ছাত্রদল। মানে আগে পরে এই ট্যাগ খাইতে পারি। সমন্বয়কপন্থী ছাত্রদল বলতে যে ছেলেগুলা ছাত্রদল হয়েও বিপ্লবীদের প্রতি প্রেম রাখে। আমার মনে হয় আমার সংগঠন আগে পরে এই সমস্যা ফেস করবেই। আন্দোলনে সরাসরি সক্রিয় থাকা কর্মীর মনস্তত্ত্ব আর আন্দোলনকে জাস্ট সাপোর্ট করা লোকের মনস্তত্ত্ব এক হবে না। যে কারণে আমি নাহিদ ভাইরে যেমনে দেখি আপনার সেভাবে দেখার চোখ নাও তৈরি হতে পারে। খ. ক্যান এটা হবে তা বোঝার জন্য চলেন, আমরা একটু জুলাইয়ের দিনগুলোতে ফিরে যাই। যেদিন আমি হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিসরে থরথর করে কাঁপতে দেখছি। ১৭/১৮ই জুলাইয়ের কথা বলতেছি। (স্মৃতি থিকা লিখতেছি কিছু অস্পষ্ট হইতে পারে। এ জন্যই জুলাইয়ের ইতিহাস না হারাতে দিতে সবার ইতিহাস লেখা উচিৎ। না লিখলে ইতিহাস হাইজ্যাক হয়, রিক্রিয়েট হয় যেমনটা ৭১’ এ হইছে) তো হ্যাঁ, ওইদিন বিকেলে ভিসি চত্বরের দিকে সাইকেলে আগাইতাছিলাম। আগেই চিন্তা ছিল শহীদ আবু সাঈদদে...