‘বন্ধুরা বলে আমি আন্দোলনে গেছি। আমার মনে পড়ে না’

গাজি জয়নুল আবেদিন শাহেদ এখন আর কিছু মনে রাখতে পারেন না। উপর থেকে ছাত্রলীগের করা নিখুত গুলিটা সরাসরি মাথার ব্রেনে গিয়ে আঘাত করছিলো। 

জয়নুল আবেদিন শাহেদ

শাহেদ মাত্র নিউ টেনে উঠলেন, হাফেজও। বয়স ১৬/১৭।  বাড়ি পটিয়া। ৪ আগস্টের পটিয়ার আন্দোলনে আহত হন। 


শাহেদকে জিগাস করলে বলে, 'বন্ধুরা বলে আমি আন্দোলনে গেছি। আমার মনে পড়ে না!' 


শাহেদের মাথায় অপারেশন হয়। অচেতন ছিলেন প্রায় দুই সপ্তাহ। শাহেদের পরিবার ডাক্তারের কাছে জিগাস করলেই বলতেন, 'আল্লাহকে ডাকেন।' অর্থাৎ ডাক্তারেরাও খুব বেশি আশা দেখতেন না। 


৫ মাসের ব্যবধানে শাহেদ এখন কিছুটা সুস্থ। হাল্কা কথাবার্তা বলেন।  আম্মুকে ঘনঘন নানানকিছু জিগেস করা লাগে মনে পড়ে না বলে। 


শাহেদের কাছে এখনো কোনো সরকারি ফান্ড পৌছায় নাই। এই অবহেলা হয়ত শাহেদের আর মনেও পড়েনা। মনে যে পড়েনা, সেটাও কি লজ্জার না?


• কাজী ওয়ালী উল্লাহ'র ফেসবুক থেকে সংগৃহিত 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার এবং...

জুলাই আমারে ঝামেলায় ফালায় দিয়া গেল