কর্মঘণ্টা খেয়ে ফেলছে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার
নাইম হাসান, জিইউবি সিক্সটিন
যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার যানজটের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠছে দিনদিন। গুলিস্তান ফ্লাইওভার প্রতিদিন লাখো মানুষের ভরসার জায়গা হলেও এটি যানজটের জন্য চলা দায়। ফ্লাইওভারে যানজটের কারণ হলো অসচল ট্রাফিক ব্যবস্থা, অতিরিক্ত যানবাহন, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, এবং বিকল্প পথের অভাব।
ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা
ট্রাফিক পুলিশ নিয়মের চেয়ে ভাগ্যের ওপর বেশি নির্ভর করে। একটি সিগন্যাল দিলে ৩০ মিনিট পর্যন্ত গাড়ি চলতে পারে না।ফ্লাইওভার দক্ষিণ থেকে উত্তর ঢাকার সব পথের গাড়ির মিলনস্থল। গুলিস্তানের দিকে নামার আগেই প্রতিটি গাড়ি একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে।
ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা
ফ্লাইওভারের রাস্তা খানাখন্দে ভরা, যা গাড়ি চলাচল বা পায়ে হাঁটার জন্যও অনুপযুক্ত।বিকল্প পথের অভাব কতটা প্রভাব ফেলে? ফ্লাইওভারের আশপাশে ব্যবহারের মতো বিকল্প রাস্তা নেই, যা যানজটের চাপ আরও বাড়ায়।
সমস্যার সমাধানে বিশ্লেষক আহমদ আলী বলেন, ‘স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট চালু করা।ফ্লাইওভারের রাস্তা দ্রুত মেরামত করা।পণ্যবাহী গাড়ির জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ। বিকল্প রাস্তা তৈরি করে চাপ কমানো এইসব দিকে নজর দিলে সম্ভব।’
যাত্রীর অভিজ্ঞতা কী বলে? যাত্রীদের মতে, ফ্লাইওভারে চলাচল মানে সময়ের অপচয় এবং বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। অনেকেই এটিকে “দম বন্ধ করা জার্নি” বলে উল্লেখ করেছেন। রেহান আহমদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘অসম্ভব বাজে রকমের যানজট শুরু হয়েছে’।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন